বিশ্বে বাংলাদেশকে নতুন মর্যাদা দিলেন ড. ইউনূস
বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় :
১৮-০২-২০২৫ ০৪:৩৭:১২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৮-০২-২০২৫ ০৪:৩৭:১২ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবচেয়ে আস্থাভাজন, বিশ্বের সবচেয়ে ধনীদের একজন ইলন মাস্ক। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষতাবিষয়ক মন্ত্রী। বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি। বিশ্বের যে কোনো সরকারপ্রধান তাঁর সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করেন। তাঁর সাক্ষাৎ পাওয়াটাই এক বিরাট সৌভাগ্যের বিষয়। অথচ সেই ইলন মাস্কই ফোন করলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। তাঁদের মধ্যে কথা হলো হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে। প্রধান উপদেষ্টা ইলন মাস্ককে বাংলাদেশে সাদরে আমন্ত্রণ জানালেন। এই ছোট উদাহরণ বলে দেয় বাংলাদেশের বদলে যাওয়া কূটনীতির কথা। বিদেশে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের গল্প।
সাত মাসেরও কম সময় ধরে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী বিশ্বনেতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ কেবল ঘুরেই দাঁড়ায়নি, বরং বাংলাদেশ এক নতুন মর্যাদার আসনে আসীন হয়েছে বিশ্বে। একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশের সরকার এবং রাষ্ট্রপ্রধানরা বিদেশে কোনো দাওয়াত পেতে লবিং করতেন। বিদেশে কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিলে অপাঙ্ক্তেয় হয়ে পড়ে থাকতেন। তাঁদের প্রায় ক্ষেত্রেই খুব কম গুরুত্ব দেওয়া হতো বা গুরুত্বহীন করে রাখা হতো। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা একটা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক বা সাইডলাইনে বৈঠকের জন্য গলদঘর্ম হতেন, কিন্তু তারপরও খুব একটা বড় ধরনের সাফল্য আসত না, বরং হঠাৎ করে পথে দেখা হলে বা চায়ের দাওয়াতে নিমন্ত্রণ পেয়ে একটি ছবি তুলে সেটিকে ব্যাপক প্রচারণা করা হতো। এটাকে নিয়ে রাজনীতির মাঠে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করত। সেরকম একটি অবস্থার সঙ্গে আমরা পরিচিত দীর্ঘদিন। কিন্তু সেই পরিস্থিতি মাত্র ছয় মাসের মধ্যে পাল্টে দিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তাঁর ব্যক্তিত্ব, বিশ্বে তাঁর প্রভাব এবং সুনামের কারণে যেমন তিনি সমস্ত রাষ্ট্রনায়ক এবং বিশ্বনেতার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন, তেমনি ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। এখন বাংলাদেশের কূটনীতিকদের দেনদরবার করতে হয় না, অনুরোধ করতে হয় না সরকারপ্রধানের সঙ্গে একটা সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করার জন্য। বরং বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশকে অনুরোধ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সামান্য একটা সাক্ষাৎকারের জন্য। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের কথা এখন বিশ্ব শুনছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। সর্বশেষ ড. ইউনূসের ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে অংশগ্রহণের কথাই ধরা যাক না কেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে মাত্র দুই দিনের জন্য গিয়েছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অথচ এই দুই দিনেই এমন সব ব্যক্তিত্বরা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, যাতে প্রকারান্তে আসলে বাংলাদেশেরই মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক প্লেনারি সেশনে বক্তব্য রাখেন। এ ধরনের প্লেনারি সেশনে আমন্ত্রণ পাওয়াটাও একটা বড় ধরনের মর্যাদার ব্যাপার। তার চেয়েও বড় বিষয় হলো যে এ সেশনটি পরিচালনা করেন সিএনএনের প্রখ্যাত সাংবাদিক বেকি অ্যান্ডারসন। যিনি এই পৃথিবীর অন্যতম প্রভাবশালী সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের জন্য এ ধরনের একটি প্লেনারি সেশনে যোগ দেওয়া আগে ছিল অবিশ্বাস্য এবং অসম্ভব বিষয়। কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আন্তর্জাতিক সুনাম এবং অর্জনের জন্য এটি এখন স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। দায়িত্ব গ্রহণের পর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন এবং সবগুলোতেই তিনি আলো ছড়িয়েছেন। তাঁর উপস্থিতি এবং প্রভাব যেমন বিশ্ব নেতৃত্বকে পুলকিত করেছে, ঠিক তেমনিভাবে বাংলাদেশও হয়েছে গৌরবান্বিত। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন। এটি ছিল প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তাঁর প্রথম বিদেশ সফর। আর এ সফরে তিনি অতীতের সমস্ত রীতিনীতি-পদ্ধতি পাল্টে ফেলেন। ছোট্ট একটি দল নিয়ে তিনি বিদেশ সফরে যান। আমাদের সরকারপ্রধানদের বিদেশ সফরের অতীত অভিজ্ঞতা অত্যন্ত তিক্ত। জনগণের ট্যাক্সের টাকা অপচয় করে শত শত মানুষকে সফরসঙ্গী করা হতো এবং এসব সফরসঙ্গীদের কার্যত সেখানে কোনো কাজই ছিল না। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে একটি ভাষণের জন্য দিনের পর দিন আমাদের সরকারপ্রধানরা অপেক্ষা করতেন। রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হতো। কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর সংক্ষিপ্ত সফরে আলো ছড়িয়েছেন সর্বত্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশের নেতাদের সঙ্গে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে তিনি বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেছেন। নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য সহযোগিত�
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin
কমেন্ট বক্স